চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের দুলারহাটে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বৃদ্ধার ৬৫ বছররের দখলীয় বসত বাড়ির জমি জবর দখল করে আধাপাকা দোকান ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বাবুল জমাদার ও হারুন জমাদারগংদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে ভূমিদস্যু চক্র এমন অপকর্ম করেছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। গতকাল মঙ্গলবার দুলারহাট বাজারের থানা সংলগ্ন এলাকায় জমি জবর দখলের এঘটনা ঘটে।
বৃদ্ধ লোকমান জমাদার অভিযোগ করেন, দুলারহাট বাজার সংলগ্ন চরতোফাজ্জল মৌজায় ১৮৯ নম্বর খতিয়ানে ৭ একর জমির মালিক ছিলেন নুরমোহাম্মদ ও সুলতান আহমেদগংরা।
১৯৫৫ সনে জমির মূল মালিক নুরমোহাম্মদ তার নিকট ১ একর ৯৫ শতাংশ,তার অপর ওয়ারিশ সুলতান আহম্মেদ ১ একর ৬০ শতাংশ, তার ভাই নুরুল ইসলাম বাবার ওয়ারিশি ১০ শতাংশ ও সুলতান আহম্মেদের ওয়ারিশ সোলাইমানগংরা ৩৬ শতাংশ জমিসহ ৪ একর ১ শতাংশ জমি সাব-কাবলা দলিল মুলে খরিদ করেন। দীর্ঘ প্রায় ৬৫ বছর ওই জমিতে তিনি বাড়ি ও বসত ঘর নির্মান করে পরিবার নিয়ে ভোগ দখলে আছেন। ২০০৯ সনে প্রতিবেশী বাবুল জামাদার ও হারুন জামাদার এবং আবদুল অদুদ তার খরিদা দখলীয় ওই জমির মালিকানাদাবী করে উচ্ছেদের হুমকি দেন। এবং জমি জবর দখলের চেষ্টা করেন। তার পরিবারের সদস্যদের বাধার মুখে জমি দখলে ব্যার্থ হন ভূমিদস্যু চক্র। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ২০০৯ সনের মার্চ মাসে হারুন জমাদার ও বাবুল জামাদারগংদের আসামী করে চরফ্যাসন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ওই মামলায় নিষেধাজ্ঞা দেন। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় প্রভাবশালী প্রতিবেশী বাবুল জামাদার ও হারুন জামাদার এবং আবদুল অদুদগংরা১৮৯ নং খতিয়ানের ৫৪৮ নং দাগের তার খরিদা দখলীয় জমিতে জোরপূর্বক দখল করে আধাপাকা ঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা ঘর নির্মানে বাধা দিলে ওই প্রভাবশালী ভূমি দস্যু চক্র তাদের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। জমি জবর দখলের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে থানায় শরনাপ্ন হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। দুলারহাট থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ দেন।
অভিযুক্ত বাবুল জামাদার জানান, ওই খতিয়ানের ওয়ারিশ হিসেবে আমি ১২ শতাংশ জমির মালিক। হিস্যার অংশ হিসেবে রাস্তা সংলগ্ন আমার পাওনা জমিতে ঘর নির্মানের কাজ করছি। ভুক্তভোগী পরিবারকে জমি ছেড়ে দিতে চাপ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন দুলারহাট থানার ওসি মোঃ মোরাদ হোসেন জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply